ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিএনসিসি নির্বাচন হচ্ছে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
  • ২৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ছয়মাস বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের এই আদেশের ফলে আগামি ফেব্রুয়ারি মাসের আগে এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এদিকে সংবিধান অনুসারে আগামী অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

তাছাড়া সরকারে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগ থেকেও সম্প্রতি একাধিকবার স্পষ্ট ইংগিত দিয়ে বলা হয়েছে যে, আগামি ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিএনসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও মোহাম্মদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার ডিএনসিসি নির্বাচন সংক্রান্ত এই এই আদেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে আজ শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আহসান হাবিব ভূঁইয়া।

আহসান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে এক রিটের শুনানি নিয়ে ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার পাশাপাশি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ আমরা রিটকারীর পক্ষে সে রুলের শুনানি শেষ করেছি।

তবে, এ মামলার সরকার পক্ষসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়াও আমরা এই উপ-নির্বাচন আরও ছয়মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে আবেদন জানাই। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে উপ-নির্বাচনের ওপর আরও ছয়মাসের স্থগিতাদেশ দেন।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি ডিএনসিসি’র নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন নতুন ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হওয়া ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে বিবাদী করা হয়েছে। অপর রিটটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিবকে বিবাদী করা হয়।

সে রিটের শুনানি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে, গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের জারি করা পরিপত্রটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর ডিএনসিসি’র উপ-নির্বাচন স্থগিত হয় এবং এর কিছুদিন পরেই হাইকোর্টে এর ওপর জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিএনসিসি নির্বাচন হচ্ছে না

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ছয়মাস বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের এই আদেশের ফলে আগামি ফেব্রুয়ারি মাসের আগে এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এদিকে সংবিধান অনুসারে আগামী অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

তাছাড়া সরকারে নেতৃত্ব দেয়া দল আওয়ামী লীগ থেকেও সম্প্রতি একাধিকবার স্পষ্ট ইংগিত দিয়ে বলা হয়েছে যে, আগামি ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিএনসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও মোহাম্মদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার ডিএনসিসি নির্বাচন সংক্রান্ত এই এই আদেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে আজ শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আহসান হাবিব ভূঁইয়া।

আহসান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে এক রিটের শুনানি নিয়ে ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার পাশাপাশি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ আমরা রিটকারীর পক্ষে সে রুলের শুনানি শেষ করেছি।

তবে, এ মামলার সরকার পক্ষসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়াও আমরা এই উপ-নির্বাচন আরও ছয়মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে আবেদন জানাই। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে উপ-নির্বাচনের ওপর আরও ছয়মাসের স্থগিতাদেশ দেন।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি ডিএনসিসি’র নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন নতুন ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হওয়া ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে বিবাদী করা হয়েছে। অপর রিটটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিবকে বিবাদী করা হয়।

সে রিটের শুনানি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে, গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের জারি করা পরিপত্রটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর ডিএনসিসি’র উপ-নির্বাচন স্থগিত হয় এবং এর কিছুদিন পরেই হাইকোর্টে এর ওপর জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়।